নালিতাবাড়ী উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলে অবস্থিত এই উপজেলাকে ঘিরে রয়েছে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্য। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন কথ্য ভাষায় মহাপ্রাণধ্বনি অনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজীকরণের প্রবণতা রয়েছে। নালিতাবাড়ী উপজেলার আঞ্চলিক ভাষার সাথে সন্নিহিত শেরপুর জেলার ভাষার অনেকটা মিল রয়েছে। ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর গতিপ্রকৃতি এবং গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবিস্থত নালিতাবাড়ীর মানুষের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
এই এলাকার ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, নালিতাবাড়ীর সভ্যতা বহুপ্রাচীন। এই এলাকায় প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন প্রাচীন সভ্যতার বাহক হিসেবে দেদীপ্যমান। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেনালিতাবাড়ীর অবদানও অনস্বীকার্য। যেহেতু অত্র নালিতাবাড়ী উপজেলাটি ভারতের সীমান্তে অবস্থিত তাই সীমান্তবর্তী পাহাড় অধ্যূষিত এলাকায় বিভিন্ন উপজাতি বসবাস করে। যেমন- গারো,কোচ,হদি,ডালু,বর্মন ইত্যাদি। এসব উপজাতীয় জনগণ তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিতে ও নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষায় দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS